Wednesday, September 16, 2020

কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফীর বিরল ছবি সমগ্র


মুয়াম্মার গাদ্দাফী, ১৯৭০



দি গ্রিন বুক, কর্নেল মুয়াম্মাল গাদ্দাফীর কালজয়ী রচনা। 


কর্নেল মুয়াম্মাল গাদ্দাফীর স্বাক্ষর


Gaddafi at an Arab summit in Libya in 1969, shortly after the September Revolution that toppled King Idris I. Gaddafi sits in military uniform in the middle, surrounded by Egyptian President Gamal Abdel Nasser (left) and Syrian President Nureddin al-Atassi (right).


In 1971, Egypt's Anwar Sadat, Libya's Gaddafi and Syria's Hafez al-Assad signed an agreement to form a federal Union of Arab Republics. The agreement never materialized into a federal union between the three Arab states.



Gaddafi (left) with Egyptian President Nasser in 1969. Nasser privately described Gaddafi as "a nice boy, but terribly naïve".





Gaddafi with Romanian communist leader Nicolae Ceausescu in Bucharest, Romania 1974


গাদ্দাফীর সাথে পুত্র সাইফ গাদ্দাফী


গাদ্দাফীর সাথে ইয়াসিন আরাফত 




রাশিয়া সফরের সময় পুতিনের সাথে গাদ্দাফী, ২০০৮ 
 
 
গ্রাফিতিতে গাদ্দাফীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার।

আমার ফেসবুক পেজ লাইক করুন - Khalid Hassan.

Tuesday, August 11, 2020

উসমানি সুলতানাদের উপাধি



 সুলতান উল-মুজাহিদিন,

• সার্বভৌম ওসমানী সুলতান, 

• খানস , 

• আনাতোলিয়া ও রুমেলিয়ার সুলতান,

• বালবন,

• পাতশাহ্,

• বাদশাহ,

• অটোমান সুলতান,

• পাশা ( তুরস্কের রাজা ),

• বেলার বে,

• খান,

• গাজী,

• সীজার,

• কায়সার-ই রম,

• শাহজাদা,

• এফেন্দি,

• তিন মহাদেশের সুলতান,

• খাদেমুন হারামাইন,

• আমির আল-মু'মিনীন


সংগ্রহ করেছেন,

আমার ফেসবুক পেজ -  https://www.facebook.com/KHalidOfficialBnEn/












Monday, August 10, 2020

উসমানীদের কোর্ট অব আর্মের অর্থ



 

০১. বামদিকে সবুজ পতাকা: রুমেলিয়া আইয়ালিট।


০২. ডানদিকে লাল পতাকা: আনাতোলিয়া আইলেট এবং অন্যান্য এশিয়ান আইলেটস।


০৩. মাঝের উপবৃত্তাকার চিত্র এবং এর উপরে পাগড়িটি অটোমান রাজবংশকে বিশ্বের সমস্ত মুসলমানের নেতা বা খলিফা হিসাবে প্রতীকী করে।


০৪. বাম দিকের ফুলগুলি অটোমানের টোলারেশনের প্রতীক।


০৫. বাম দিকে ওজন ভারসাম্য অটোমানদের ন্যায়বিচারের প্রতীক।


০৬. ভারসাম্যের নীচে বাম দিকের বইগুলি একটি কুরআন এবং একটি আইন বই, যা ইসলামী রাষ্ট্রের প্রতীক।


০৭. বাম এবং ডানদিকে অস্ত্র অটোমান সেনাবাহিনীর প্রতীক।


০৮. সূর্য অটোমান রাষ্ট্রের মাহাত্ম্যের প্রতীক

 সুলতানের সীল (তুঘরা) দিয়ে সূর্যের উপর সবুজ পদকটি মহান অটোমান রাজবংশের প্রতীক।


০৯. সুলতানের মোহরের নীচে সবুজ অর্ধচন্দ্র (তুঘরা) প্রতীক দেয় যে অটোমান রাষ্ট্রটি বিশ্বের সমস্ত মুসলমানদের রক্ষক।


১০. যে বোর্ডে মেডেলিয়ানদের ( medallions ) ফাঁসি দেওয়া হয়েছে তা অটোমান রাজ্য এবং তুর্কি সংস্কৃতির শিকড়ের প্রতীক।


১১. নীচে ঝুলন্ত পদকগুলি সাম্রাজ্যের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রতীক।

লেখক,

খালিদ হাসান 

ফেসবুক পেজ - https://www.facebook.com/KHalidOfficialBnEn/

রাশিয়ায় ইসলাম


রাশিয়া 🇷🇺 (রুশ: Россия ), সরকারিভাবে রুশ ফেডারেশন নামে পরিচিত ( রুশ: Российская Федерация রশিস্কায়া ফিদিরাৎসিয়া ) এটি পূর্ব ইউরোপে অবস্থিত, বিশ্বের বৃহত্তম দেশ। 


রাশিয়ার বর্তমান মোট জনসংখ্যা সাড়ে চোদ্দ কোটি,যার ভিতর মুসলমান দুই থেকে আড়াই কোটি । বর্তমানে রাশিয়ার মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ - ১৭ % ইসলাম ধর্মাবলম্বী। রুশ অর্থডক্স খ্রিষ্টানদের পর ইসলাম ধর্মানুলম্বীরাই রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মানুসারি। ২০১৩ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র অধিদপ্তরের মতে, রাশিয়ার মুসলমানরা মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ । পিউ রিচার্জের মতে ২০১৭ সালেও মুসলমানদের জনসংখ্যার হার ১০ শতাংশ।

উল্লেখ্য যে, রাশিয়াতে বিশ্বের মোট মুসলিমদের এক শতাংশ বসবাস করে।

রাস এবং এর উত্তরসূরি রাষ্ট্রসমূহ প্রতিবেশী, শাসক বা প্রজা হিসেবে মুসলিমদের সংস্পর্শে এসেছে। মুসলিম ভূমিসমূহ থেকে দূরপাল্লার রৌপ্য বাণিজ্য প্রথম রুশ রাষ্ট্রসমূহ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং খ্রিস্টধর্মের পূর্বে ইসলাম ধর্ম রুশ ভূমিতে পৌঁছায়।

৯৮৮ সালে কিয়েভান রাসের শাসক ভ্লাদিমিরের খ্রিস্টধর্ম গ্রহণের কয়েক দশক আগেই দশম শতাব্দীর মধ্যভাগে ভোলগা বুলগার রাষ্ট্রের শাসকরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।

১২৩৬ থেকে ১২৩৭ সালের মধ্যে মোঙ্গলরা ভোলগা বুলগার রাষ্ট্র ধ্বংস করে দেয় এবং এরপর সমগ্র রুশ ভূমিকে পদানত করে। ১৩২৭ সালে গোল্ডেন হোর্ডের শাসক উজবেক খান ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং এর ফলে এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের জন্য রুশ ভূমিসমূহের কর্তৃত্ব মুসলিমদের হাতে ন্যস্ত হয় । এরপর মাস্কোভি ও গোল্ডেন হোর্ডের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যের পরিবর্তন ঘটতে থাকলে মস্কোর রাজপুরুষেরা ক্রমাগত গোল্ডেন হোর্ডের উত্তরাধিকার সংক্রান্ত সংঘর্ষে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন।

১৩৯২ সালে বর্তমান রাশিয়ার নিঝনি নভগরোদ প্রদেশে বসবাসকারী মিশার তাতাররা মাস্কোভির গ্র্যান্ড ডিউকদের অধীনে চাকুরি গ্রহণ করলে মাস্কোভি প্রথম মুসলিম প্রজা লাভ করে।

১৫৫২ সালে রাশিয়ার জার চতুর্থ আইভানগোল্ডেন হোর্ডের উত্তরসূরি রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রাষ্ট্র কাজান দখল করেনএবং ভৌগোলিক সম্প্রসারণের এক সুদীর্ঘ প্রক্রিয়া আরম্ভ করেন।

পঞ্চদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে গোল্ডেন হোর্ডের উত্তরাধিকার যুদ্ধে পরাজিত কাসিমভের খানরা মাস্কোভির আশ্রয় লাভ করেন এবং মস্কোয় বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত অভিজাতে পরিণত হন।

তবে তা সত্ত্বেও রুশদের কাজান বিজয় ছিল একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত, কারণ এর ফলে বিস্তৃত স্তেপভূমিতে রুশ সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টি হয়। পরবর্তী দুই শতাব্দীতে রুশরা বাশকির ওকাজাখ স্তেপের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে এবং এর মধ্য দিয়ে বহুসংখ্যক মুসলিম প্রজা লাভ করে।

১৭৮৩ সালে রুশ সম্রাজ্ঞী দ্বিতীয় ক্যাথেরিন গোল্ডেন হোর্ডের সর্বশেষ উত্তরসূরি রাষ্ট্র ক্রিমিয়া দখল করেন এবং অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষদিকেককেশাস পর্যন্ত রুশ সাম্রাজ্য সম্প্রসারিত হয় ।

বর্তমান আজারবাইজানসহ ট্রান্সককেশীয় রাজ্যসমূহ সহজেই রুশদের পদানত হয়, কিন্তু উত্তর ককেশাস জয় করতে রাশিয়াকে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধের পুরোটা ব্যয় করতে হয়। ১৮৫৯ সালে ককেশীয় মুসলিমদের সামরিক ও ধর্মীয় নেতা ইমাম শামিলের রুশদের নিকট আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়েই কেবল রাশিয়ার পক্ষে ককেশাসের জাতিসমূহকে পদানত করা সম্ভব হয়।

১৮৬৪ থেকে ১৮৭৬ সালের মধ্যে রাশিয়া কয়েক দফা সামরিক অভিযানের মধ্য দিয়ে মধ্য এশিয়ার বুখারা,খিভা ও কোকান্দ খানাতগুলোতে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। কোকান্দ খানাতকে পুরোপুরিভাবে উচ্ছেদ করা হয়, এবং বুখারা ও খিভার বহু অঞ্চলকে রাশিয়ার তুর্কিস্তানপ্রদেশের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। খিভা ও বুখারার অবশিষ্ট অঞ্চল রাশিয়ার আশ্রিত রাজ্যে পরিণত হয় । এসব রাজ্যের শাসকদের অভ্যন্তরীণ বিষয়াবলিতে বিস্তৃত স্বায়ত্তশাসন বজায় থাকলেও রাষ্ট্রদ্বয়ের বৈদেশিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে আসে।

মধ্য এশিয়া বিজয়ের ফলে রাশিয়ার মুসলিম জনসংখ্যা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পায়, এবং ১৮৯৭ সালের জনশুমারি অনুযায়ী সে সময়ে রাশিয়ায় ১ কোটি ৪০ লক্ষেরও বেশি সংখ্যক মুসলিম অধিবাসী ছিল বলে জানা যায়।

১৯৯৭ সালে রুশ সংবিধানে খ্রিস্টধর্ম, বৌদ্ধধর্ম এবংইহুদিধর্মের পাশাপাশি ইসলাম ধর্মকেও রাশিয়ার 'সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে'র অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।

১৯৯৮ সালে রাশিয়ার তাতারস্তানের কাজানে প্রতিষ্ঠিত রাশিয়ান ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় ( Russian Islamic University ) হলো রাশিয়ার প্রথম সরকারী ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় ।

এখন রাশিয়ার কয়েকটি প্রদেশে মুসলমানদের হার দেখুন

০১. অ্যাডিজিয়া ( Adygeya ) - ১২.৬০ %

০২. আলতাই প্রজাতন্ত্র ( Altai Republic ) - ৬.২০ %

০৩. আস্ট্রখান ওব্লাস্ট (  Astrakhan Oblast ) - ১৪.৬২ %

০৪. বাশকোর্তোস্টান ( Bashkortostan ) - ৬৮.৬২ %

০৫. চেচনিয়া ( Chechnya ) - ৯৫ %

০৬.  চেলিয়াবিনস্ক ওব্লাস্ট (  Chelyabinsk Oblast ) - ৬.৪৮ %

০৭. ক্রিমিয়া ( Crimea ) - ১৫ %

০৮. দাগেস্তান ( Dagestan ) - ৮২.৬০ %

০৯. ইঙ্গুশেতিয়া ( Ingushetia ) - ৯৬ %

১০. ইহুদি স্বায়ত্তশাসিত ওব্লাস্ট (  Jewish Autonomous Oblast ) - .৮০%

১১. কাবার্ডিনো-বাল্কারিয়ান ( Kabardino-Balkarian ) - ৫৫.৪০ %

১২. কারচে-চের্কেস ( Karachay-Cherkessia ) - ৬৪.০০ %

১৩. খান্তি-মানসী স্বায়ত্তশাসিত ওক্রুগ (  Khanty-Mansi Autonomous Okrug ) - ১০.৮৮ %

১৪. মারি ইল ( Mari E ) - ৬.০০ %

১৫. কুরগান ওব্লাস্ট (  Kurgan Oblast ) - ২.৬২ %

১৬. তাতারস্তান ( Tatarstan ) - ৪৮.৮০ %

১৭. ইয়ামালো-নেনেটস স্বায়ত্তশাসিত ওক্রুগ ( Yamalo-Nenets Autonomous Okrug ) - ১৭.৪০ %

এছাড়াও মস্কোর জনসংখ্যার ৩.৫০ শতাংশ হলো মুসলিম এবং মস্কো হলো ইউরোপের সবচেয়ে বেশি মুসলিম বসবাসকারী শহর।

আমার পেজে একটা লাইক দিয়ে উৎসাহ দিন -
https://www.facebook.com/KHalidOfficialBnEn/
রাশিয়ার মুসলমানরা যথেষ্ট ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করে। ধর্ম পালনে রাশিয়ার মুসলমানরা তেমন বাধার সম্মুখীন হয় না। রাশিয়ার সব দলের নেতারাই মুসলমানদের ভোটে গেমচেঞ্জার মনে করে, তাই তারা সবসময়ই মুসলমানদের নিয়ে সময় মধু বর্ষণ করে।

রাশিয়ার মুসলমানদের ভিতর দশ শতাংশ অর্থাৎ দুই লাখ শিয়া এবং বাকি সবাই সুন্নী। তবে কিছু কাদেয়ানি শয়তানের উৎপাত আছে রাশিয়াতে।

২০০৬ সালে রেকর্ড ১৮,০০০ রাশিয়ান মুসলিম হজযাত্রী সৌদি আরবের মক্কায় হজে অংশ নেন।তখন রাশিয়ার মুসলিম নেতারা সৌদি আরবের বাদশাকে চিঠি পাঠিয়ে অনুরোধ করেছিলেন যেন সৌদি আরব হজ্জ ভিসার কোটা কমপক্ষে ২৫,০০০-২৮,০০০ করে রাশিয়ার জন‍্য । ফলে ২০১০ সালে ২০,০০০ রাশিয়ান মুসলিম হজযাত্রী হজে অংশ নেন।রাশিয়ার মুসলমানদের রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা থাকেন, বর্তমানে রাশিয়ার শাইখুল ইসলাম হলেন তালগাত সাফিচ তদজুদ্দিন।


রাশিয়া স্বেচ্ছায় OIC তে যোগ দিতে চেয়েছিলো, তবে অজানা কারনে তা গ্রহন করা হয় নি। উল্লেখ্য, রাশিয়া OIC এর পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র। রাশিয়ার অধিনস্ত স্বশাসিত প্রজাতন্ত্রের মুসলমানদের নিয়ে কয়েকটা পোস্ট লিখার আশা করি।

তবে আপাতত বলা যায় যে, রাশিয়ার অধিনস্ত স্বশাসিত প্রজাতন্ত্র গুলা ফেডারেল সরকারকে কাঁচকলা দেখিয়ে নিজের মত কাজ করতে পারে। তাই চেচনিয়া স্বাধীন না হলেও খুব একটা ক্ষতি হয় নি। রাশিয়ায় হওয়া গত ফুটবল বিশ্বকাপে, খোদ রাশিয়ার সাথে ম‍্যাচের আগে চেচনিয়ার সরকার পুরা মিসর জাতীয় ফুটবল দলকে রাষ্ট্রীয় ভাবে আপ‍্যায়ন করে এবং মিসরিয় ফুটবলার মোহাম্মদ সালাকে কে সম্মানজনক নাগরিকত্ত দেন। (Honorary Citizen of the Chechen Republic : 2018) যার জন‍্য মস্কোর সমালোচনার মুখে পড়ে চেচনিয়ার সরকার।

২০১৯ সালে প্রকাশিত জরিপে দেখা গেছে যে রাশিয়ানদের ৭৬ % মুসলমানদের প্রতি অনুকূল দৃষ্টিভঙ্গি এবং ১৬ % প্রতিকূল দৃষ্টিভঙ্গি দেখায় ।

ছবিতে রাশিয়ার নোরিলস্ক শহরে অবস্থিত নোর্দ কামাল মসজিদ, যা বিশ্বের সবচেয়ে উত্তরে অবস্থিত মসজিদ আর রুশ অঞ্চলে প্রচলন করা মুসলিম শাসকদের মুদ্রা।

লেখক, খালিদ হাসান চোপদার
ভায়না, মাগুরা

[ দুইটা আউট নোট 

১. রাশিয়া দেখেই একদল এসে চেচনিয়া চেচনিয়া করে লাফাবে। হ‍্যাঁ, ওরা স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলো, এবং রাশিয়া ব‍্যাপক রক্তপাত এবং পেশিশক্তি প্রদর্শন করে তা আবার দখল করে। তবে চেচনিয়ার প্রতিবেশি প্রজাতন্ত্র গুলাও মুসলিম প্রধান। আর স্বাধীন হলেও মহাভারত কিছু করতে পরতো না। প্রমান হিসাবে আপনি পাকিস্তান আর আফগানিস্তান বাদে আর যত গুলা দেশের শেষে "স্তান" আছে তাদের পরারাষ্ট্রনীতি বা রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে খোজ নিন।

০২. দয়া করে কপি করবেন না প্লিজ ]

পরের পর্বে ইউক্রেন নিয়ে লেখা হবে ইনশাআল্লাহ।

তথ‍্যসূত্র 



Friday, August 7, 2020

তুরস্কের পতিত অর্থনীতি এবং উইঘুরদের মন্দভাগ্য ......

তুর্কি লিরার রেকর্ড মূল্যপতন হয়েছে এবং ধ্বস চলছেই । দেশটি ৪৪০ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণে [https://tradingeconomics.com/turkey/external-debt] জর্জরিত, যার মধ্যে ১০০ বিলিয়নের বেশি পরিশোধ করতে হবে ২০২০ এর মধ্যে। মুদ্রাস্ফীতি ১৩% ঠেকেছে [https://tradingeconomics.com/turkey/core-inflation-rate]। এর ইনভার্স সিচুয়েশন প্রেসিডেন্টের পপুলারিটিতে ।

.

ন্যাটো সদস্য হওয়ায় অতীতে এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন সহায়তা পাওয়া যেত। কিন্তু উচ্চমূল্যে রাশিয়া থেকে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (S-400) ক্রয়ের কারণে মার্কিনিরা ছাড়াও ন্যাটো জোট ক্ষিপ্ত। এমনকি অ্যামেরিকা চুক্তিকৃত সর্বাধুনিক যুদ্ধ বিমান (F-35) সরবরাহ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

.

তুরস্ক ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বোচ্চ ঋণ গ্রহীতা। ২০১৪-২০২০ সময়ে Pre-Accession Support হিসেবে ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ পেয়েছিল https://ec.europa.eu/neighbourhood-enlargement/instruments/funding-by-country/turkey_en। কিন্তু ২০২১-২০২৭ পরিকল্পনায় তুর্কির জন্য বরাদ্দ বাতিল করা হয়য়েছে।https://ahvalnews.com/eu-turkey/eu-plans-cut-financial-assistance-turkey

.

তুরস্কের এমন পরিস্থিতিতে টিকে থাকার পেছনে একমাত্র ভূমিকা রেখেছে কাতার। দেশটি তুরস্ককে ১৫ বিলিয়ন ডলার থোক বরাদ্দ ও বিভিন্ন নন-রিফান্ডেবল সহায়তা দিয়েছে https://www.forbes.com/sites/dominicdudley/2018/08/16/qatar-repays-debt-turkey-15b-support/#3b71e1c69f59। কিন্তু সিরিয়া ও লিবিয়ায় তুরস্কের অত্যাধিক ব্যয়ের কারণে কাতারও সহায়তার রেশ টেনে ধরেছে।

.

আপাতত শেষ অবলম্বন হিসেবে দেশটি চীন থেকে ১ বিলিয়ন ডলার উন্মুক্ত ঋণ নিয়েছে https://www.bloomberg.com/news/articles/2019-08-09/turkey-got-1-billion-from-china-swap-in-june-boost-to-reserves। সাথে Industrial and Commercial Bank of China থেকে ৩.৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছে। কোনো রাষ্ট্র অপর দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করা লজ্জাজনক বিরল দৃষ্টান্ত।

.

আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে- ইউরোপের সাথে চীনের সম্পর্ক বরাবরই দূর্বল। অমিত শক্তিধর দেশে পরিণত হওয়ার পথে চীন খাদে পড়া তুরস্ককে কাছে টেনে নিয়েছে এনেছে। “বেল্ট অ্যান্ড রোড” বিনিয়োগ কৌশল হিসাবে চীনের বিভিন্ন কর্পোরেশন তুর্কি অবকাঠামো উন্নয়নে কয়েক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এই বিনিয়োগ ২০২১ সালের মধ্যে দ্বিগুণ দ্বিগুণ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

.

এহেন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে উইঘুররা দেখতে পান- তুরস্ক তারা আর স্বাগত নয়। তাদেরকে রেস্তোঁরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; বাসা, রাস্তা় এবং যে কোনও জায়গায় তাদের পাওয়া যেতে পারে সেখানে মাঝরাতে অভিযান চালিয়েছে। বিনা অভিযোগে গ্রেপ্তার করে কয়েক মাস ধরে ডিপোর্টেশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।


প্রায় ৫০,০০০ উইঘুর বিভিন্ন উপায়ে পালিয়ে তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছিল। এখন তাদেরকে তুরস্ক থেকে চীনে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। তবে, সরাসরি চীনের নিকট হস্তান্তর করার পরিবর্তে তাজিকিস্তানের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে।

.

তুরস্কে প্রথমে উইঘুরদের শনাক্ত করে ইজমিরের একটি ক্যাম্পে নিয়ে রাখা হয়। এরপর তাদেরকে তাজিকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখান থেকে তাদেরকে চীনে ফিরিয়ে নেয়া হয়। চীনের আহ্বানে তাজিকিস্তান সহজেই সাড়া দেয়। ফলে, ঝামেলা ছাড়াই পালিয়ে যাওয়া উইঘুরদের আবার ফেরত নেয় চীন।

.

উইঘুরদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলো বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। পালিয়ে আসা উইঘুরদের চীন হুমকি মনে করে। চীনের দমন পীড়নের খবর বিশ্বের কাছে পৌঁছানোর একমাত্র উপায় এই উইঘুররা। পালিয়ে আসা উইঘুরদের মধ্যে যারা যারা অত্যাচার নিয়ে মুখ খোলেন তাদেরকে প্রথম টার্গেট করা হয়।

.

এমন একজন ছিলেন এনভার তুরদি। তিনি চীনা সরকারের কার্যক্রম নিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। তখন তাকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য তুরস্কের কাছে নাম পাঠায় চীন। এক পর্যায়ে তাকে তুর্কি কর্মকর্তারা জেরা এবং পরবর্তিতে নির্বাসিত করে এবং সর্বশেষে চীনে ফেরত নেয়া হয়েছে।

.

টেলিগ্রাফের কাছে উইঘুররা জানিয়েছেন, তারা ভয় পাচ্ছেন তুরস্ক তাদেরকে তাজিকিস্তান হয়ে চীনে পাঠিয়ে দেবে। দুই সন্তানের মা আলমুজি কুয়ানহান চীন থেকে পালিয়ে তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাকে চীনে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

......

তথ্য সূত্র - 

১। www.telegraph.co.uk/news/2020/07/26/turkey-sending-muslim-uighurs-back-china-without-breaking-promise/

২। https://thediplomat.com/2019/10/erdogans-chinese-gamble/

৩। https://www.bbc.com/news/world-asia-china-30810439

৪। https://www.nytimes.com/2019/12/21/world/asia/xinjiang-turkey-china-muslims-fear.html

৫। https://www.middleeasteye.net/news/uighurs-china-turkey-accused-deporting-third-countries

৬। https://indianarrative.com/world/wannabe-caliph-erdogan-dumps-uighurs-for-china-money-2413.html

৭। https://www.ft.com/content/caee8cac-c3f4-11e9-a8e9-296ca66511c9

৮। https://www.wionews.com/world/turkey-deports-uighur-muslims-back-to-china-via-third-countries-reports-316218

৯। https://www.wionews.com/world/why-erdogan-has-decided-to-extradite-uighurs-to-china-316326

১০। https://www.npr.org/2020/03/13/800118582/i-thought-it-would-be-safe-uighurs-in-turkey-now-fear-china-s-long-arm


- Mohammad Salimullah


ফেসবুক পেজ - https://www.facebook.com/KHalidOfficialBnEn/

 


Thursday, August 6, 2020

আয়া সোফিরার মুয়েজিনের মৃত্যু

রবিবার আয়া সোফিয়ার মুয়েজিন হঠাৎ মারা গেছেন। ( ইন্নালিল্লাহ ওয়াইন্নালিহি রাজিউন  )

তুরষ্কে সাধারণত একজন মুয়েজিনকে নামাযের জন্য ইসলামিক আহ্বান ( আজান দেওয়ার না )  ও তিলাওয়াত করার জন্য নিযুক্ত করা হয়

তুর্কি মিডিয়া জানিয়েছে, আয়া সোফিয়ায় নিযুক্ত ওসমান আসলান হার্ট অ্যাটাকের কারণে মারা যান।

মুফতিদের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমাদের কাগজিথেন জেলা উহুদ মসজিদ হাজিয়া সোফিয়া মসজিদে স্বেচ্ছাসেবক গাইডেন্স সার্ভিসের সময় হার্ট অ্যাটাকের কারণে মারা যান। আমরা তাঁর পরিবার ও আত্মীয়দের প্রতি সমবেদনা জানাই।”



তাঁর মৃত্যু আয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তরিত করার কয়েক দিন পর হলো যখন কয়েক দশক পরে সেখানে মুসলিম নামাজ পড়া শুরু করেছে।

কনস্ট্যান্টিনোপালের গভর্নরশিপও মুয়েজিনের প্রতি সমবেদনা জানায়।
  
গভর্নরশিপ টুইটারে বলেছিলেন, "আমরা আল্লাহর কাছে দয়া, উহুদ মসজিদ, মুয়েজিন-কাইয়ুমের পরিবার ও আত্মীয়দের প্রতি দয়া চাই যা হাগিয়া সোফিয়া-ই কেবীর মসজিদে স্বেচ্ছাসেবক নির্দেশিকা চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন।"  

লেখক - খালিদ হাসান
ই - মেল - khalidhassan3358@gmail.com 
যোগদিন ফেসবুক পেজে - https://www.facebook.com/KHalidOfficialBnEn/

মৃত ওসমান আসলান  


পৃথিবীর প্রথম ভাষা কোনটি ?

শিক্ষাবিদ এবং ভাষাবিদরা এখনও পৃথিবীর প্রাচীনতম ভাষা সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত নন, তবে সাধারণত মনে করেন যে, এটি প্রায় ১,০০,০০০ খ্রিষ্টপূর্বথেকেই আমাদের সাথে রয়েছে। এই মতবিরোধের ফলস্বরূপ, এটি প্রাচীনতম বেঁচে থাকা ভাষা মেনে নেওয়া আরও শক্ত। এটি একটি, যা এখনও আমাদের আধুনিক বিশ্বে ব্যবহৃত।

যতদূর লিখিত ভাষাগুলি যায়, সুমেরীয় এবং মিশরীয়দের মনে হয় প্রাচীন লেখার ব্যবস্থা রয়েছে এবং এটি রেকর্ড করা প্রাচীনতম ভাষাগুলির মধ্যে প্রায় ৩২০০ খ্রিষ্টপূর্ব অবধি রয়েছে। তবে প্রাচীনতম লিখিত ভাষা যা এখনও প্রকৃত ব্যবহারের মধ্যে রয়েছে সম্ভবত চীনা হতে পারে, যা প্রথম প্রায় ১৫০০ খ্রিষ্টরপূর্বের কাছাকাছি এসেছিল….. যদিও প্রাচীন গ্রীকও একই সময়ে একটি নির্দিষ্ট লিখিত আকারে উপস্থিত হয়েছিল।

কিন্তু যখন কোনও ভাষা প্রথমবারের মতো লিখিত হয় তখন এটি কতটা পুরানো তার সাথে আসলেই তার কোনো সম্পর্ক থাকে না। প্রাচীন ভাষা গুলো হলো

তামিল: খ্রিস্টপূর্ব ৩০০ খ্রিস্টাব্দে তামিলের প্রাচীনতম আবিষ্কৃত লিখিত উদাহরণ। তবে অন্যান্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে এটি প্রথম খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ সালের দিকে আবির্ভূত হয়েছিল। যদিও এটি গ্রহের খুব বেশি লোকের জানা থাকতে পারে না, আজ তামিল প্রায় ৭৮৭৮ মিলিয়ন লোকের মুখের ভাষা। বলা হয় এটি বিশ্বের দীর্ঘকাল বেঁচে থাকার ভাষা ।

সংস্কৃত: সংস্কৃত, ভারতের প্রাচীন ভাষা যা তার প্রথম দিকের লিখিত আকার ২০০০ খ্রিষ্টপূর্বে । যদিও আজ কেবলমাত্র খুব অল্প সংখ্যক লোক এখনও এই ভাষায় কথা বলছেন, সাধারণ ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার মূলের অংশ হিসাবে এটি বেশ কয়েকটি পশ্চিমা ভাষায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। আপনি যা জানেন না তা হ'ল কম্পিউটারের বুনিয়াদি ভাষাও সংস্কৃতের মূলনীতি অনুসারে নির্মিত হয়েছিল।

গ্রীক: দার্শনিক এবং পণ্ডিতদের ভাষা হিসাবে সর্বাধিক পরিচিত, গ্রীক এখনও ১৩ কোটিরও বেশি লোকের দ্বারা কথিত। রেকর্ডগুলি থেকে জানা যায় যে ভাষাটি প্রায় ১৫০০ খ্রিষ্টপূর্ব থেকে এসেছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃক এটি একটি সরকারী ভাষা হিসাবে স্বীকৃত।

চীনা: চীনা আজ বিশ্বের একক সর্বাধিক কথ্য ভাষা যা প্রায় ১.৮ বিলিয়ন মানুষ তাদের প্রথম ভাষা হিসাবে বিবেচনা করে। ভাষাটির লিখিত উৎস খ্রিস্টপূর্ব ১২৫০ অবধি শ্যাং রাজবংশের সময় পর্যন্ত সন্ধান করা হয়েছিল। তামিলের পাশাপাশি, চীনা বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন জীবিত ভাষা।

হিব্রু: যদিও অনেকে বিশ্বাস করেন যে হিব্রুটি গত ৫০০০ বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, তবে এর প্রথম দিকের লিখিত উদাহরণগুলি কেবল এক হাজার খ্রিষ্টপূর্ব পর্যন্ত রয়েছে। এটি একটি আকর্ষণীয় উদাহরণও কারণ এটি ২০০৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৪০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত কথ্য জিভ হিসাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ইস্রায়েল রাষ্ট্র গঠনের পরে এটি কেবল একটি জীবন্ত ভাষা হিসাবে পুনরুত্থিত হয়েছিল .. বর্তমানে প্রায় 9 মিলিয়ন মানুষ বিশ্বজুড়ে হিব্রু কথা বলতে।

আরবি: অপেক্ষাকৃত সাম্প্রতিক লিখিত উদাহরণগুলির সাথে আর একটি প্রাচীন ভাষা হ'ল আরবি। আরবি শিলালিপিটির প্রথমতম উদাহরণটি ৫১২ খ্রিস্টাব্দে অবস্থিত। আজ, প্রায় ২৯০ মিলিয়ন মানুষ আরবিকে তাদের প্রথম ভাষা হিসাবে বিবেচনা করে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, ইরান, ইস্রায়েল, মিশর, জর্দান, কুয়েত এবং ওমান সহ।

এটি আজও আমরা স্বীকৃত এবং ব্যবহার করি এমন ভাষাগুলির একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা। আমরা জানি যে আরও অনেকগুলি ভাষা রয়েছে তবে সেগুলি হয় আর কথ্য হয় না বা ইতিহাসের কাছে হারিয়ে যায় কারণ কোনও লিখিত রেকর্ড পাওয়া যায় নি।

তথ‍্যসংগ্রহ - খালিদ  হাসান 
ফলো করুন ফেসবুক পেজ - https://www.facebook.com/KHalidOfficialBnEn/

পৃথিবীর প্রথম ভাষা কোনটি ?

শিক্ষাবিদ এবং ভাষাবিদরা এখনও পৃথিবীর প্রাচীনতম ভাষা সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত নন, তবে সাধারণত মনে করেন যে, এটি প্রায় ১,০০,০০০ খ্রিষ্টপূ...